ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ কবিতা আক্তার রুমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন অমৃতপুর এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। এ সময় চক্রের মূল হোতা ও তার স্বামী মোহাম্মদ মিনার পালিয়ে যান। আটক রুমা মুন্সিগঞ্জ সদর থানার চৌকিদার বাড়ির মো. কাউসার মিয়ার মেয়ে। তিনি স্বামীকে নিয়ে জিনজিরা ইউরিয়নের অমৃতপুর এলাকার জনৈক ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থেকে জাল টাকা তৈরির কাজ করে আসছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সালাম মিয়ার নেতৃত্বে একটি চৌকস দল উপজেলার অমৃতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ি থেকে জাল নোট বানানোর সাদৃশ্য ছাপ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ছাপ, এক হাজার ও পাঁচশত টাকার টেসিং পেপার, ভারতীয় রুপির জলছাপ যুক্ত পেপার, ৪টি ক্যামিকেলের কৌটা, লোহার এঙেল, সুতা বসানো পাতাসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জাল টাকা সরবরাহ করে আসছিল। তারা সঙ্গবদ্ধ মুদ্রা জালিয়াত চক্রের সদস্য। পলাতক আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সালাম মিয়া জানান, চক্রটি জাল টাকা তৈরির জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিদেশ থেকে আনা বিশেষ ধরনের কাগজে বিভিন্ন ধরনের আঠা, রঙ, নিরাপত্তা চিহ্ন বসিয়ে ছাপা হওয়ার পর নোটগুলোকে মূল নোটের মতো করে বাজারজাত করে আসছিল। আমরা চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছি। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।